এলাকায় রাজনৈতিক, পারিবারিক, গোষ্ঠী/বংশীয় অথবা অর্থের প্রতিপত্তি কায়েমের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয় বেসরকারি স্কুল-কলেজ ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্ণিং বডি….. সভাপতি বা নানা ক্যাটাগরিতে সদস্য হিসেবে নিজের বা নিজ বলয়ের লোকজনকে প্রতিষ্ঠিত করতে আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে কোথাও কোথাও সহিংসতা ক্ষেত্রবিশেষে রক্তাক্ত জখম এমনকি প্রাণহানি ঘটনাও ঘটে।
একটা সময় ছিল যখন স্থানীয় পর্যায়ে শিক্ষা বিস্তারে স্থানীয় দানশীল বংশীয় ঘরের জনকল্যাণে প্রবৃত্ত মানুষগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতেন। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এমনকি শিক্ষকদের বেতন-ভাতার ব্যবস্থাও করতে হতো উদ্যোক্তাদের। নিরাপত্তা, উন্নয়ন সবকিছুতেই স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্রভাব কাজে লাগতো। সেই প্রেক্ষাপটে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি গঠন করে স্কুল কলেজ পরিচালনা করার অপরিহার্যতা ছিল।
এখন বেতনের ১০০% সরকারি কোষাগার থেকে দেয়া হয়, চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলেও কিছু ভাতা ও আর্থিক সুবিধা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়। এমনকি নিয়োগ সিস্টেমও ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। তাহলে ম্যানেজিং কমিটির আবশ্যকতা কি? ক্ষেত্রবিশেষে কতগুলি অন্যায় আধিপত্য বিস্তারের উলঙ্গ উল্লম্ফনের সুযোগ রাখা কেন?
আবার কেউ কেউ এভাবে বলেন যে, ডিসি টিএনও এরা থাকলে ভাল হয়। না, ভাল হয় না। কারণ আমলারা নিজেদেরকে রাজা এবং অন্যদের প্রজা বিবেচনায় আচরণ করে থাকেন (সামান্য ব্যতিক্রমও আছে)। ওদের তাবেদারী সেটাও প্রধান শিক্ষক বা প্রিন্সিপালের কাজ নয়।
সুতরাং বিদ্যমান বাস্তবতায় স্কুল-কলেজে এইসব পরিচালনা পরিষদের আবশ্যকতা আছে কিনা সেটা কার্যকর বিবেচনায় নিতে সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ করছি, ধন্যবাদ!
(ফেসবুক ওয়াল থেকে)।
খুলনা গেজেট/এনএম